খুলনা, বাংলাদেশ | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  খুলনা নগরীর ওয়েস্টার্ন ইন হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
  সীমান্ত হত্যা যে কোন মূল্যে বন্ধ করতে হবে : নাহিদ ইসলাম
  রাজধানীর ভাটারায় গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ : দগ্ধ যুবকের মৃত্যু

ইসলামে আত্মরক্ষার কৌশল শেখার গুরুত্ব

মুফতি আনিস বিন ওমর

কারও ওপর অন্যায়, অবিচার, আক্রমণ ও জুলুম করাকে ইসলাম হারাম সাব্যস্ত করেছে। একই সঙ্গে ইসলাম আত্মরক্ষার অধিকারও দিয়েছে।কেননা ইসলাম মানবতা ও সাম্যের ধর্ম। ইসলাম আমাদেরকে ভারসাম্য ও মধ্যপন্থার শিক্ষা দেয়। যেন কেউ জালেম না হয়, আবার মাজলুমও না হয়।

রসুল (সঃ) বলেছেন, لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ কেউ অপরকেও ক্ষতি করবে না আবার অপরের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তও হবে না। সুনানে ইবনে মাজাহ ২৩৪১।

আত্মরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। ইসলাম আত্মরক্ষার কৌশল শেখার অনুমতি দিয়েছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে উৎসাহিত করেছে। নিজের জীবন, সম্পদ, সম্মান, পরিবার এবং দ্বীন ইসলামকে রক্ষার জন্য আত্মরক্ষার কৌশল শেখা ও প্রয়োগ করা ‍উভয়ই জায়েজ।

ইসলাম আত্মরক্ষার বিষয়ে যা বলে:

অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি: ইসলাম আত্মরক্ষাকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, {فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُوا عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ} যে তোমাদের ওপর আক্রমণ করেছে, তোমরা তার ওপর আক্রমণ করো, যেরূপ সে তোমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের সঙ্গে আছেন। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৪)

ধ্বংস ও ক্ষতি থেকে রক্ষা: ইসলাম নিজেকে ধ্বংস ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার তাগিদ দিয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে,وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِতোমরা নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে ফেল না। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৫)যদি নিজে নিজেকে রক্ষা করতে না পারি, বা নিজেকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার নুন্যতম সক্ষমতা অর্জন না করি, তাহলে নিজেকে ধ্বংসের মধ্যেই ফেলা হলো।

অত্যাচারিতের প্রতিবিধান : মাজলুম হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করা এবং যেন মাজলুম না হই তার জন্য প্রতিরোধ করার পরিপূর্ণ অনুমতি ইসলাম আমাদেরকে দিয়েছে।

কুরআনে বর্ণিত আছে -وَلَمَنِ انْتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِ فَأُولَئِكَ مَا عَلَيْهِمْ مِنْ سَبِيلٍ অত্যাচারিত হওয়ার পর যারা প্রতিবিধান করে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।(সুরা শুরা, আয়াত: ৪১) মাজলুম হওয়ার পর প্রতিশোধ নেওয়া আমার অধিকার কিন্তু প্রতি বিধান করার যোগ্যতা আমার না থাকলে কিভাবে অধিকার আদায় করবো?ইসলাম আমাদেরকে প্রতিবিধান করতে উৎসাহিত করেছে।

এমনকি ধর্ষক কোনো নারীর ওপর চড়াও হলে যদি নারী সম্ভ্রম রক্ষায় তার ওপর আক্রমণ করে এবং এতে ধর্ষক খুন হয়, তবে ইসলামি দন্ডবিধিতে এই খুন দায়হীন। এই খুনের জন্য নারী শাস্তির মুখোমুখি হবে না।

হযরত উবাইদ ইবনে উমায়ের (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তির ঘরে একজন মেহমান এলো। ফলে তারা জনৈক বাঁদিকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে পাঠাল। বাঁদিকে মেহমানের পছন্দ হলে তার পেছনে লাগল এবং তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে চাইল। বাঁদি তাকে বাধা দিল। সে তার সঙ্গে কিছুক্ষণ মোকাবিলা করল। অতঃপর বাঁদি দৌড়ে পালালো এবং পাথর ছুড়ে মারল। এতে তার বক্ষ বিদীর্ণ হলো এবং সে মারা গেল।ঘরে এসে সবাইকে ঘটনা জানালো। তারা ওমর (রা.)-এর কাছে ঘটনার বৃত্তান্ত জানাল। ওমর (রা.) লোক পাঠিয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ফায়সালা দিলেন, সে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিহত হয়েছে, তার কোনো রক্তপণ দেওয়া লাগবে না।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, ১৭৯১৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ২৭৭৯৪)

জবর দখলকারীকে প্রতিহত করা
জীবন দিয়ে হলেও নিজের সম্পদ হেফাজতের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।

এক সাহবী এসেরসুলস. কে বলেন -يَا رَسُولَ اللهِ، أَرَأَيْتَ إِنْ جَاءَ رَجُلٌ يُرِيدُ أَخْذَ مَالِي؟ قَالَ: «فَلَا تُعْطِهِ مَالَكَ» قَالَ: أَرَأَيْتَ إِنْ قَاتَلَنِي؟ قَالَ: «قَاتِلْهُ» قَالَ: أَرَأَيْتَ إِنْ قَتَلَنِي؟ قَالَ: «فَأَنْتَ شَهِيدٌ»، قَالَ: أَرَأَيْتَ إِنْ قَتَلْتُهُ؟ قَالَ: «هُوَ فِي النَّارِ»
হে আল্লাহর রসুল, যদি কোনো ব্যক্তি এসে আমার সম্পদ ছিনিয়ে নিতে চায়? রাসুল (সা.) বললেন, তোমার সম্পদ তুমি দেবে না। লোকটি বলল, যদি সে আমাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়? রাসুল (সা.) বললেন, তার সঙ্গে তুমি মোকাবিলা করো। লোকটি বলল, যদি সে এতে আমাকে হত্যা করে? রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে তুমি শহীদ। লোকটি বলল, যদি আমি তাকে হত্যা করি? রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে সে জাহান্নামি হবে।’ (সহিহ মুসলিম, ২২৫)

শক্তিশালী ঈমানদার পছন্দনীয় : ইসলাম শরীরচর্চা ও আত্মরক্ষামূলক খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করেছে। একজন মুমিনকে এতটুকু শারীরিক সামর্থ্য অর্জন করতে বলেছে, যেন নিজের ও দেশের প্রয়োজনে আত্মরক্ষা গড়ে তুলতে পারে। অক্ষম ও অসমর্থ হয়ে থাকা ইসলামে নিন্দনীয়।

রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ، خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ، وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ، وَاسْتَعِنْ بِاللهِ وَلَا تَعْجَزْ আল্লাহর কাছে দুর্বল ঈমানদারের চেয়ে শক্তিশালী ঈমানদার বেশি পছন্দনীয়। যদিও উভয় প্রকার ঈমানদারের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে। তুমি তোমার কল্যাণকর বিষয়াদির প্রতি আগ্রহী হও এবং আল্লাহর সাহায্য চাও, অক্ষম হয়ো না। (সহিহ মুসলিম, ২৬৬৪)

শহীদের মর্যাদা : রসুলস. বলেন مَنْ قُتِلَ دُونَ مَالِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ، وَمَنْ قُتِلَ دُونَ أَهْلِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ، وَمَنْ قُتِلَ دُونَ دِينِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ، যে ব্যক্তি নিজের জীবন, সম্পদ বা পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়, সে শহীদের মর্যাদা লাভ করে। (সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ৪০৯৫) এই হাদিস থেকে বুঝা গেল দ্বীন ইসলামকে রক্ষা করার জন্য নিহত হলে যেমন শহীদ হয়, তেমনি নিজের জান, মাল ও পরিবারকে রক্ষার জন্য নিহত হলেও সে শহীদের মর্যাদা পাবে।নিজের জানমাল ইজ্জত রক্ষা করার মতো, বা আক্রান্ত হলে প্রতিবিধান করার মতো নুন্যতম যোগ্যতা নিজের মধ্যে থাকতে হবে, অন্যথায় আক্রান্ত হয়ে নিজেকে ধ্বংসের মধ্যে ফেলা হবে।

ইসলামের উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, আত্মরক্ষার কৌশল শেখা কেবল অনুমোদিতই নয়, বরং ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজনও বটে।

সতর্কতা: ইসলাম আত্মরক্ষার অধিকার দিলেও তার আগে সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে বলেছে। বিপদে যেন না পড়তে হয়, আর পড়লেও যেন সহজে উদ্ধার পাওয়া যায় সে ব্যপারে সচেতন থাকতে হবে। নবী করীম (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামদের জীবনে এর অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে, যেমন: জোবায়ের ইবনুল আউয়াম (রা.) বলেন, ‘ওহুদ যুদ্ধের দিন রাসুল (সা.) দুটি বর্ম পরিহিত ছিলেন।’ (সুনানে তিরমিজি, ১৬৯২)পাহারার ব্যবস্থা করা,গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকরা ইত্যাদি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ এর উদহারণ ভুরি ভুরি।

এ ছাড়া ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) নামাজরত অবস্থায় অতর্কিত আক্রমণে শহীদ হওয়ার পর উসমান (রা.) মসজিদে স্বতন্ত্র মেহরাব বানিয়ে সেখানে নামাজে দাঁড়াতেন। এমনিভাবে আলী (রা.) শহীদ হওয়ার পর মুয়াবিয়া (রা.) মসজিদে স্বতন্ত্র মেহরাবে রক্ষীর পাহারায় নামাজে দাঁড়াতেন। (ওয়াফাউল ওয়াফা : ২/৮৮; তারিখে তাবারি : ৫/১৪৯)

আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে কিছু মূলনীতি মেনে চলতে হয়:

আনুপাতিকতা: আত্মরক্ষার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ, আক্রমণকারীর ক্ষতির মাত্রার সাথে আত্মরক্ষার প্রতিক্রিয়া আনুপাতিক হতে হবে। আক্রমণ বা আঘাত যদি ইসলামের উপর হয় বা মুসলমানদের অধিকার ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হয় কিংবা জাতীয় কোন বিষয়ে হয়, তাহলে কোন দয়া নয় বরং যথাযথ প্রতিউত্তর দিতে হবে। আর যদি ব্যক্তগত বিষয়ে হয় তাহলে কুরআনের নির্দেশনা হলো{وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُمْ بِهِ وَلَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِلصَّابِرِينَ}তোমরা যদি (কোন জুলুমের) প্রতিশোধ নাও, তবে ঠিক ততটুকুই নেবে, যতটুকু জুলুম তোমাদের উপর করা হয়েছে। আর যদি সবর কর, তবে নিশ্চয়ই সবর অবলম্বনকারীদের পক্ষে তাই শ্রেয়।সুরানাহল 126।এক্ষেত্রে সবর করা উত্তম। বিশেষ করে আঘাতটা যদি কোন মুসলমানের পক্ষ থেকে হয় তাহলে প্রতিশোধ নিয়ে সংঘাত না বাড়িয়ে ধর্য ধারণ করা উত্তম। এই আয়াতে আল্লাহ তা’আলা সেদিকে ইঙ্গিত করেছেন।

কোন আঘাত বা আক্রমন তা যে কোন ধরণেরই হোক না কেন, যদি কোন ঘনিষ্ঠজন, আত্মীয় স্বজন বা কেন মুসলিম ভাই থেকে হয়, তাহলে প্রতিশোধ না নিয়ে ধর্য্যধারণ করা উত্তম। এক্ষেত্রে প্রতিশোধ নিলে বেশি ক্ষতি। কেননা প্রতিশোধের বিনিময়ে প্রতিপক্ষও তাদের ক্ষয়ক্ষতি হিসেব করে পুষিয়ে নেওয়ার জন্য আবার আক্রমণ করবে, নিজে আবার প্রতিশোধ নিতে পাল্টা আঘাত হানবো, এতে সংঘাত জিইয়ে থাকবে। তাই এক্ষেত্রে আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করতে উদ্ভুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন -وَلَمَنْ صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَلِكَ لَمِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ আর যে ধৈর্যধারণ করে এবং ক্ষমা করে, তা নিশ্চয় দৃঢ়চিত্ততার কাজ।সুরাশুরা 43।

নিজেদের মধ্যে ঝগড়া এড়িয়ে চলার জন্য রসুল স. পরামর্শ এবং সুসংবাদ দিয়েছেনأَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَهُوَ مُحِقٌ، জান্নাতের মাঝে একটি ঘরের জিম্মাদার আমি, যে ব্যক্তি অধিকারী হওয়া সত্বেও শুধু ঝগড়া থেকে বিরত থাকার জন্য অধিকার ছেড়ে দেয়।মুজামে আওসাত 878।

উদ্দেশ্য: আত্মরক্ষার কৌশল শেখা/প্রশিক্ষণ গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হবে নিজেকে বা অপরকে বিপদ থেকে রক্ষা করা। জুলুম, আগ্রাসন বা ধ্বংস কখনই নয়।‍ যদি ঝগড়া এড়িয়ে সবর করা যায় তাহলে তো বেশি ভালো। আর যদি প্রতিরক্ষা করতেই হয়, তাহলে সামান্য ধাক্কা দেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করা গেলে, প্রাণঘাতী আঘাত করা যাবে না। যথাসম্ভব বিপদ এড়িয়ে চলা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যখন প্রতিরোধের সব উপায় শেষ হয়ে যায়, তখন আত্মরক্ষার জন্য শেষ আশ্রয় হিসেবে শক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

আজ আমাদের সন্তানরা আত্মরক্ষার কিছুই বোঝে না। তারা যুদ্ধ চেনে, তবে সে মোবাইলের গেমসে, যার দরুন তারা দিন দিন দূর্বল আর বিকলাঙ্গ হচ্ছে। অসুস্থ প্রজন্ম হিসেবে গড়ে উঠছে। তারা খেলাধুলা ছেড়ে ঘরবন্দি জীবন পার করছে। অন্যদিকে ইসলাম স্ট্রং ও সতেজ থাকতে উদ্বুদ্ধ করেছে। রসুল স., সাহাবায়ে কেরামে ও তাবেয়ীদের যমানার সামরিক প্রশিক্ষণ ছিলো প্রতিটি মুসলমানের মৌলিক শিক্ষার অংশ, যা তাদেরকে শক্তিশালী মুমিন বানাতে সাহায্য করেছে।

পৃথিবীর অনেক দেশে নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশেও সেটা থাকা উচিত। যতদিন পর্যন্ত সে ব্যবস্থা না হচ্ছে নিজেকে এবং সন্তানকে আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণের জন্য কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা যেতে পারে, যা আমাদেরকে শারিরীক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করবে। যাতে প্রয়োজনে আমরা কোনো গাওযায়ে অংশ নিতে পারি।

সংক্ষেপে বলা যায়, ইসলাম আত্মরক্ষাকে একটি অপরিহার্য অধিকার এবং দায়িত্ব হিসেবে দেখে। তাই আত্মরক্ষার কৌশল শেখা এবং প্রয়োজনে তা প্রয়োগ করার অনুমতি ইসলামে রয়েছে, তবে তা অবশ্যই ইসলামী শরীয়তের নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে হতে হবে।

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক, ইমদাদুল উলূম রশিদিয়া মাদরাসা, ফুলবাড়িগেট, খুলনা।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!